The English Academy Blog
Behind the success stories
১৯ বছর বয়সে এজেন্সি! | তৌহিদের সাহস, সংগ্রাম আর সাফল্যের গল্প।
বয়স মাত্র ১৯। তখনও কেউ জানে না, সামনে কী আসছে। কোনো ফ্রিল্যান্সিং অভিজ্ঞতা নেই, মার্কেটপ্লেসে একাউন্টও খোলা হয়নি। কিন্তু নিজের ভিতরের একটা কণ্ঠ বলছিল, “তুই পারবি!”
তৌহিদের জীবনের গল্পটা ঠিক এমনই। একেবারে শুরু থেকে, নিজের চেষ্টায়, নিজেকে তৈরি করে ফেলা এক সাহসী তরুণের গল্প—যিনি একসময় বাজারে বসে সবজি বিক্রি করতেন, আর আজ তিনি একজন সফল ডিজিটাল উদ্যোক্তা।
এই তৌহিদই এখন এক সফল উদ্যোক্তা, যার ক্লায়েন্টরা কানাডা ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী। তার নিজের গড়া এজেন্সি—Boost
Stream Digital Marketing Agency—যেখানে তিনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, বিজ্ঞাপন, ক্লায়েন্ট একুইজিশন থেকে শুরু করে ক্লায়েন্টদের সেলস গ্রোথ নিয়েও কাজ করেন।
তবে এই যাত্রার পেছনে যে বড়ো ভূমিকা রেখেছে, সেটি হলো—The
English Academy-তে Spoken English কোর্সে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত।
২০২২ সালের মে মাস। তৌহিদ তখন বুঝতে পারলেন—নিজের স্বপ্নকে বাস্তব করতে হলে শুধু ডিজিটাল স্কিল নয়, ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতাই হবে তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। কারণ, তিনি যাদের সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন, তারা সবাই বিদেশি। তাদের সঙ্গে সাবলীলভাবে কথা না বলতে পারলে, ব্যবসা তো দূরের কথা, সম্পর্কই তৈরি হবে না।
ঠিক তখনই তার এক বন্ধু তাকে জানায় The
English Academy-র কথা। তিনি অনলাইনে খোঁজাখুঁজি শুরু করলেন। দেখলেন, স্টুডেন্টদের রিভিউ দারুণ, ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া একদম প্রফেশনাল, ক্লাস আপডেট ও ইনস্ট্রাক্টর সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য—সব মিলিয়ে মনে হলো, “এইটাই আমার জায়গা।”
The English Academy-তে ভর্তি হওয়ার পর, তার ক্লাস নিতেন রাকিন স্যার ও মিশকাত ম্যাম—যারা শুধু শেখাতেন না, বরং প্রতিটি শিক্ষার্থীকে গুরুত্ব দিয়ে বুঝতেন, সাহস দিতেন, আর শেখার আগ্রহ জাগিয়ে তুলতেন। ক্লাসের পরিবেশ ছিল এতটাই প্রাণবন্ত, যেন প্রতিটি সেশনে একেকটি নতুন অভিজ্ঞতা। কেউ ভুল করলেও, তাকে ছোট করা হতো না। বরং উৎসাহ দিয়ে বলা হতো, “আরেকবার চেষ্টা করো।”
এই শেখার আনন্দ আরও বেড়ে যায় Chat
Club আর Movie Club-এর মাধ্যমে।
Spoken English কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য The
English Academy ৬ মাসের জন্য এই দুই ক্লাব একেবারে ফ্রি দেয়।
Chat Club-এ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে উৎসাহিত করা হয়, ইংরেজিতে গেম খেলা, টপিক অনুযায়ী প্রেজেন্টেশন—সবকিছু মিলে এখানে তৈরি হয় বাস্তব পরিস্থিতির মতো পরিবেশ। তৌহিদের ক্লাব সেশন পরিচালনা করতেন হিরা ম্যাম, যিনি তাকে শুধু ভাষা শেখাননি, আত্মবিশ্বাসও দিয়েছিলেন।
Movie Club-এর অভিজ্ঞতা তাকে ইংরেজি এক্সপ্রেশন, উচ্চারণ ও শব্দ চয়নে আরও দক্ষ করে তোলে। হলিউড মুভির মাধ্যমে শেখার এই উপায়টি হয়ে দাঁড়ায় তার শেখার প্রিয় মাধ্যম।
ইংরেজিতে দক্ষ হওয়ার পর, তিনি নিজে থেকেই শুরু করেন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, সেলস ও ক্লায়েন্ট একুইজিশনের মতো স্কিল শেখা। কোনো ইনস্টিটিউটে না গিয়ে, শুধুমাত্র Google,
YouTube আর নিজের আগ্রহ দিয়ে তিনি প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করেছেন।
“একটা ওয়েবসাইট বানাতে যদি ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়, সেটা দেওয়ার সামর্থ আমার ছিলো না। আমি দিতে না পারি, তাই আমার নিজের চেষ্টায় শিখতে হবে। আমি ঠিক সেটাই করেছি।”
এরপর গড়ে ওঠে Boost
Stream Digital Marketing Agency—একটি পূর্ণাঙ্গ কানাডিয়ান-ভিত্তিক মার্কেটিং এজেন্সি। এখান থেকে তিনি ওয়েব সার্ভিস, অ্যাডভার্টাইজিং, মার্কেটিং কনসালটেশনসহ ক্লায়েন্টদের জন্য টার্গেট রেভিনিউ বাড়ানোর কাজ করেন। তার ক্লায়েন্ট সবাই বিদেশি।
আজ তৌহিদ যা কিছু করেছেন, সব কিছুর শেকড় সেই ছোট্ট একটি সিদ্ধান্তে—The
English Academy-তে ভর্তি হওয়া।
তিনি বলেন—
“The English Academy আমার জীবনে যে পরিবর্তন এনেছে, সেটা শুধু ভাষাগত নয়—একটা দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে দিয়েছে। আমি এখন জানি, কিভাবে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে হয়, কিভাবে কথা বলতে হয়, আর কিভাবে সামনে এগিয়ে যেতে হয়।”
“আমি কোনো কোর্স করিনি। আমি গুগল করেছি, ইউটিউব দেখেছি, আর সবচেয়ে বড় কথা—প্র্যাকটিস করেছি।”
এভাবেই একের পর এক বাধা পেরিয়ে, অনিশ্চয়তার মাঝখান থেকে তিনি নিজের জন্য তৈরি করেছেন একটি সফল ভবিষ্যৎ।
তৌহিদের এই গল্পটা শুধুমাত্র একজন সফল উদ্যোক্তার গল্প নয়। এটা সেইসব তরুণদের গল্প, যারা আজও ভয়ে পিছিয়ে থাকে, ভাবে “আমি কি পারবো?” — তৌহিদের উত্তর সোজা,
“পারবি! যদি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখিস।”
ইংরেজি শেখা দিয়ে শুরু, এরপর নিজের স্কিল তৈরি, আর তারপর সাহসিকতা নিয়ে বিশ্ববাজারে পা ফেলা—এই গল্পটা আমাদের মনে করিয়ে দেয়,
সফলতা বয়স দেখে না, দেখে মনোবল।
তৌহিদের মতো হয়তো তোমার গল্পটাও শুরু হতে পারে আজই, এখনই।
তুমি কি আত্মবিশ্বাসের সাথে ইংরেজি বলতে চাও?
তাহলে আজই যোগাযোগ করো